আজিজুল ইসলাম বারী, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার পাবলিক লাইব্রেরী উদ্যোগে ৮ দিন ব্যাপী একুশে বই, লোকজ ও শিশু মেলা বই প্রেমীদের দখলে। শেষ সময়ে এসে ভিড় জমাচ্ছেন অনেকেই। তবে সবচেয়ে বেশি উপস্থিতি এখন শিক্ষার্থীদের।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বসন্তের রোদেলা দুপুরে মেলার দ্বার খুলতেই মেলা প্রাঙ্গণে অন্যদের সঙ্গে প্রবেশ করেন বিভিন্ন বয়সী শিক্ষার্থীরা। স্টল ঘুরে ঘুরে দেখেন তারা। কিনে নেন নিজের পছন্দের বইটি। এসময় তাদের উপন্যাস, গল্প, কবিতা, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বইসহ বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী বেশি কিনতে দেখা যায়। কিনেছেন বিভিন্ন নতুন লেখকের বইও। কথা হয় কাকিনা উত্তরবাংলা কলেজের শিক্ষার্থী রাউফুন নিশাব রাফির সঙ্গে। তিনি বলেন, এখন মেলার শেষ সময়। তাই ক্যাম্পাসের ক্লাসের ফাঁকে বইমেলায় এলাম। পছন্দের লেখকদের বই আগেই মনস্থির করে রেখেছিলাম, এখন সেগুলো কিনছি। আর নতুন যে লেখকদের বইগুলো এ পর্যন্ত আলোচনায় এসেছে, কিনবো সেগুলোও।
বারাজান এসসি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরিফুল জামান বলেন, আমি প্রায় প্রতিদিনই মেলায় আসি। আজ মানুষের ভিড়ে পা ফেলার জায়গা নেই। সব মিলে ভালো লাগছে। এসময় মেলার বিভিন্ন স্টল ঘিরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। মূলত শিশু, কিশোর এবং স্কুলের শিক্ষার্থীরা দলবেঁধে বইমেলায় এসেছেন।
স্বল্প পরিসরে শুরুটা হলেও দিনে দিনে এর কলেবর বেড়েছে। বেড়েছে বই, স্টল ও পাঠক সংখ্যাও। এবারের মেলায় ৪৪টি স্টল আছে বলে জানিয়েছেন আয়োজক কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছেন, শিশু-কিশোরদের মেধা ও মনন বিকাশ, মানব মুক্তি, জ্ঞান নির্ভর সমাজ নির্মাণ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে একুশের চেতনাকে উদ্দীপ্ত করার লক্ষে এই আয়োজন। এছাড়াও প্রতিদিন রয়েছে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আবৃত্তি, নৃত্য ও সঙ্গীতসহ পরিবেশনা।
প্রসঙ্গ, ২০০৭ সালে কালীগঞ্জের একদল সৃজনশীল মানুষের উদ্যোগ নেয় ঢাকার মত না হলেও ছোট পরিসরে অমর একুশে বই ও তথ্য প্রযুক্তি মেলার আয়োজন করবে। ওই সময় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে করা হয় বই মেলাটি। এভাবেই একটি স্বপ্নের শুরু। যেটি আজ পুষ্প পল্লবে সুশোভিত মহীরুহে পরিনত হয়েছে। তখন থেকেই প্রতি বছরের মতো এবারেও এই আয়োজন করছে তুষভান্ডার পাবলিক লাইব্রেরী ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।